
প্রকাশিত: Fri, Feb 10, 2023 9:38 AM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 1:51 PM
পাতানো খেলার বইমেলা
আহসান হাবিব:[২] মাঝে মাঝে আমার বইমেলাটিকে পাতানো খেলা মনে হয়। কবি সাহিত্যিকগণ এই খেলার ক্রীড়নক। খেলার মধুটা পান করছে প্রকাশকরা। কিভাবে? আমার মনে হয় বইমেলায় যত বই বের হয়, তার অধিকাংশই লেখকদের টাকায় বের হয়। প্রকাশকরা লেখকদের রয়ালটি দেয়া তো দুরস্ত। সবাই নয়, বলেছি অধিকাংশ। বই বের হওয়ার পর প্রচারের দায়িত্বটা প্রকাশককে নিতে প্রায় দেখি না, সব দায় নিয়ে বসে আছে লেখকরাই। প্রকাশক তো একটা বই বের করে না, করে অনেক বই, ফলে তারা হয়তো কখনো নিজেদের প্রকাশনার কথা বলেন। কিন্তু লেখক নিজের বইটার কথা বলেন। এভাবে সব লেখক যখন নিজের নিজের বইয়ের কথা প্রচার করেন, তখন প্রকাশকদের আর কিছু লাগে না। কারা বই কিনে?
বই কিনে সাধারণত লেখকদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনরা। প্রতিটি লেখকের নিজস্ব বলয় আছে, তারা বইটা কিনে। এক বলয়ের পাঠক অন্য বলয়ের লেখকদের বই সাধারণত কেনে না। ফলে সত্যিকারের লেখক বেরিয়ে আসে না। লেখকদের আবার নিজস্ব গোষ্ঠীর পাঠকরা তাদের পছন্দের লেখকদের বই কেনার জন্য নিজেদের ফেসবুক আইডি তে প্রচারণা চালায়। এই যে তথাকথিত পাঠক নিজেদের পরিচিত লেখকদের বই কিনছে, না কিনলে কেমন হয় এই বোধে তাড়িত হয়ে, আসলে কি তারা বই পড়ে? আমার মনে হয় পড়ে না, কিনে ফেলে রেখে দেয়। কজন পাঠক এর বাইরে ভেবেচিন্তে সত্যিকারের লেখকদের লেখা খুঁজে তাদের বই কেনে? আমার মনে এই সংখ্যা হাতে গোণা। ফলে বই বিক্রি হয়, প্রকাশকরা টাকা পায় আর লেখকরা মনে করে তাদের বই এতো কপি বিক্রি হয়েছে! তাহলে এটা পাতানো খেলা না তো কি?
[৩] প্রচারণা ছাড়া এই পুঁজিবাদী সমাজ অচল। তাদের পণ্য বেচতে চটকদার বিজ্ঞাপন লাগবেই। এতে যেমন মানুষকে পণ্যমুখী করা যায়, অন্যদিকে মুনাফাও আসে উচ্চহারে। কিন্তু একজন লেখক কেন নিজের বইয়ের প্রচারণা করবেন যে বইগুলি কিনবে তারই বন্ধু বা আত্মীয়রা? মাঝখান থেকে সব লাভের গুড় খাবে প্রকাশকরা? কে কত বড় লেখক এটা প্রমাণ হয় লেখক নিজে প্রচারণায় অংশ না নিয়ে যদি পাঠকরা সেই বই কিনে এবং পড়ে এবং তাদের পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখে জানায়। যারা বই কিনে পাঠ প্রতিক্রিয়া জানায়, তারাও এই খেলার অংশ। প্রকৃত সাহিত্য ভাবনা থেকে এসব হয় না। হয় মুখ রক্ষার কাজ। বইমেলাকে তাই পাতানো খেলা মনে হয় আমার। লেখক এবং পাঠক পাতানো। প্রকাশকরা এই পাতানো খেলার মুনাফাভোগী আর রেফারি হচ্ছে বাংলা একাডেমী। লেখক: ঔপন্যাসিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
